১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় বোমার আঘাতে পুঙ্গ হওয়া মহিলাটিকে বঙ্গবন্ধু-পুঙ্গ ভাতা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও মেলেনি পুঙ্গ ভাতা

স্টাফ রিপোর্টারঃ আজকের দেশবানী।

ভোলা দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ৪নং ওয়ার্ডের সাফিয়া খাতুন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বোমার আঘাতে পঙ্গু হয়ে যায়।

সাফিয়া খাতুন অভিযোগ করে জানান, যুদ্ধের সময় উত্তর জয়নগর ৪নং ওয়ার্ডে আমার বাড়ির পাশে মুক্তিযুদ্ধাদের ক্যাম্প ছিল, আমি তাদেরকে রান্না করে খাওয়াতাম এবং তাদেরকে আমি বিভিন্ন সহযোগিতা করতাম।

যুদ্ধের কিছুদিন পর আমার ঘরের কাছে একটি বোমার ফোটে ওই বোমার আঘাতে আমার বিভিন্ন শরীর পুড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে আমি পঙ্গু হয়ে যাই।

খবর পেয়ে বঙ্গবন্ধু আমাকে চিকিৎসা বাবদ দুই হাজার টাকা দেন এবং আমাকে একটি পঙ্গু ভাতা দেওয়ার আশ্বস্ত করেন তিনি।
কিন্ত দুঃখের বিষয় আদৌ আমি আমার পুঙ্গ ভাতাটি পাই নাই।

বঙ্গবন্ধুর দেওয়া কথা মত আমি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী আশ্রাব মিয়ার সাথে যোগাযোগ করি।
তিনি আমার পঙ্গু ভাতা করে দেওয়ার জন্য মোটা অংকের টাকা দাবী করেন।
আমি তার কথা মত আমার বাপের বাড়ীর জমি বিক্রী করে নগদ ৭০ হাজার টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র কমান্ডার আলী আশ্রাব মিয়াকে দেই।
আদৌ তিনি আমার ভাতা করে দেয় নাই এবং টাকাও ফেরৎ দেয় না।

তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আজকাল করে আমাকে ঘুরাতে থাকেন, পরে খবর নিয়ে দেখি কমান্ডার আলী আশরাফ মিয়া আমার নামের ভাতাটি চরপাতার এক ছিডিয়া নামক ব্যাক্তির নামে করে ওই ভাতার টাকা দু’জনে ভাগাভাগি করে খায়।
তাকে আমার ভাতা করানোর কথা বললে আমাকে কোন ভাবেই পাত্তা দেন না।

এব্যাপারে কমান্ডার আলী আশ্রাব মিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি অসুস্থ্যতার কথা বলে এড়িয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানান,সাফিয়া খাতুন মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক কষ্ট করেছেন নিজের জীবন বাজী রেখে যুদ্ধাদের জন্য খাবার সংগ্রহ করতেন।
বোমার আঘাতে পুঙ্গ হওয়ায় বঙ্গবন্ধু তাকে চিকিৎসার জন্য ওই সময় ২০০০ হাজার কাটা দিয়াছিল।
সাফিয়াকে তিনি পুঙ্গ ভাতা করে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন।
কমান্ডার আলী আশ্রাব মিয়া সাফিয়ার পুঙ্গ ভাতা করে না দিয়ে অন্যায় করছে এবং বঙ্গবন্ধুর কথার খেলাপ করছে আমরা মনে করি।

ভুক্তভোগি পুঙ্গ অসহায় সাফিয়া খাতুন মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে এর বিচার দাবী করেন।

বিষয়টি তদন্ত করে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া প্রতিশ্রুতি পুরন করে সাফিয়া খাতুনকে পুঙ্গ ভাতা করে দেওয়ার জন্য প্রশাসন ও মাননীয় এমপির কাছে জোর দাবী জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *