উত্তরখানের বহুমুখী প্রতারক ইউসুফ” মানব পাচার মামলায় গ্রেফতার

উত্তরা সংবাদ দাতাঃ

রাজধানী উত্তরখান থেকে মানব পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছে বহুমুখী প্রতারক ইউসুফ।তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল শরীয়তপুর -এ মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬/৭/৮/৯/১০ ধারায় মামলার আবেদন করেন জৈনক জি এম ওহেদুজ্জামান। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গত ২৭/৭/২০২৩ ইং তারিখ মামলা রুজু করেন। মামলা নং-২০।
মামলার খবর পেয়েই আসামীরা গা ঢাকা দেন। মামলার সুত্র ধরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৫ ই আগষ্ট উত্তরখান মধ্যপাড়া নিজ বসত বাড়ী থেকে ইউসুফকে গ্রেফতার করে শরীয়তপুর পালং মডেল থানায় নিয়ে যায়। মামলার বাদি জি এম ওহেদুজ্জামান শরীয়তপুর জেলার পালং মডেল থানার অন্তর্গত তুলাসার গ্রামের মৃত গাজী আবদুল মান্নানের ছেলে।

মামলা সুত্রে জানা যায়, প্রতারক ইউসুফ ওহেদুজ্জামানের ভাগিনা জোহান আহম্মেদ ইমুকে ইতালি পাঠানোর কথা বলে প্রথমে ৪ লাখ টাকা নেন। পরবর্তিতে লিবিয়া নিয়ে বদ্ধ ঘরে আটকিয়ে জোড় পূর্বক ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
মামলা সুত্রে আরো জানা যায়, গত ১৫/০৪/২০২২ ইং তারিখ মামলার অপর আসামি ইসমাইল তালুকদার( ৫৫) মিলে ইতালি পাঠানোর উদ্দেশ্য জোহান আহম্মেদ ইমুকে লিবিয়া পাঠায়। লিবিয়া নিয়ে আসামীদ্বয় তাদের এজেন্ট নামীয় লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা ইমুকে বদ্ধ ঘরে আটকিয়ে রেখে শারীরিক নির্যাতন করেন।আসামিদ্বয়ের নির্দেশে লিবিয়ায় অবস্থিত দালালদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গত ০৫/১০/২০২২ইং তারিখ বাদির ভাগিনা বাদিকে লিবিয়া থেকে গোপনে ফোন করে নির্যাতনের বর্ননা দিয়ে কান্নাকাটি করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার কথা বলে। বিষয়টি নিয়ে বাদী একাধিকবার আসামিদ্বয়কে জানালে ও তারা নানান তালবাহানা করে ঘুরাইতে থাকে। দীর্ঘ ৯ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর বাদীর ভাগিনার সাথে পরিবারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয় গুলো বাদী আবারো আসামিদ্বয়কে জানালে তারা মিথ্যা কাহিনি সাজাইয়া বাদীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানি করা শুরু করে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৭৮/১
উত্তরখান মধ্যপাড়া সরকার বাড়ি এলাকার বাসিন্দা বহুমুখী প্রতারক ইউসুফ দীর্ঘদিন যাবৎ জালটাকার ব্যবসার সাথে জড়িত। জালটাকা বানানো এবং বিক্রি করার সময় সে প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হয়। ঐ মামলায় তার সহযোগি সহ তার তিন বছর সাজা হয়। এছাড়াও ইউসুফ এলাকার ভুমিদস্যু ও মামলাবাজ নামে পরিচিত। স্থানীয়রা জানান,নুরুল হকের পুত্র ইউসুফ প্রশাসন ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখাইয়া নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। সে সংঘবদ্ধ মানব পাচার কারী লোক। সরকার বাড়ী এলাকায় সে নিজস্ব পেটুয়া বাহিনী তৈরী করে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি দখলসহ মাদক ব্যবসা করে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় মুরুব্বিগণ বলেন, ইউসুফ জমি দখল, জালটাকার ব্যবসা,মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অবৈধ কাজের সাথে জড়িত।সরেজমিনে অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, সে এতটাই ভয়ংকর যে তার ভয়ে মহল্লার সাধারণ মানুষ মুখ খোলার সাহস পায় না। কয়েক বছর আগে সে তার সহযোগীদের নিয়ে রে্যাব পরিচয়ে জমি দখল করতে গিয়ে প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হয়। সুত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে উত্তরখান থানাসহ বিজ্ঞ আদালতে একাধিক মামলা ও রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *