বিশেষ প্রতিবেদনঃ
বোরহানউদ্দিন দৌলতখান এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত ভোলা -২ আসন। এটি ভোলা জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১১৬ নং আসন। স্বাধীনতার আগে বাকেগঞ্জের অধীনে থাকাকালীন দৌলতখান ও তজুমদ্দিন,মনপুরা উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল ভোলা ২ আসন। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় এই আসন ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
পরিসংখ্যান বলছে,বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া আসনে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা সদস্য এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।
বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান নিয়ে আসনটি পুনর্বিন্যস্ত হওয়ার পর ১৯৮৬ সালে সংসদ সদস্য হন আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ।
এর পর থেকে এ আসনে তিনি অনেকবারই জিতেছেন। এর মাঝে একবার ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম এর কাছে হেরে যান, ২০০৮ সালেও তিনি নির্বাচিত হন।
তবে ২০১৪ সালে তিনি নিজের ভাতিজা আলী আজম মুকুলকে আসনটি ছেড়ে দেন।
এরপর থেকে মুকুলই এ আসনের সংসদ সদস্য।
এরই মধ্যে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিসহ ( বিজেপি) বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।
শুরু করেছেন দৌড়ঝাপ।
তারা দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে যোগাযোগ রক্ষাসহ নেতাদের কাছে তদবির শুরু করেছেন। পাশাপাশি তৃনমুলের নেতা কর্মীদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
ভোটারদের সঙ্গেও মতবিনিময় করছেন। সম্প্রতি বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলায় গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এ প্রতিবেদককে জানান,এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আলী আজম মুকুলের যোগাযোগ রয়েছে বেশি।
গনসংযোগ ও সাংগঠনিক যোগাযোগের দিক থেকে এগিয়ে আছেন তিনি।
এ বিষয়ে আলী আজম মুকুল বলেন,আমি দুই মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর মেঘনার ভাঙন রোধে কাজ করাসহ এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছি।
তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমি মনোনয়নপ্রত্যাশী"তবে মনোনয়ন দৌড়ে পিছিয়ে নেই তরুন রাজনীতিবিদ কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ড,আশিকুর রহমান শান্তও। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলায় জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। শান্ত সম্প্রতি ভোলায় এসে প্রায় এক সপ্তাহ অবস্থান করে নিজ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা ও মতবিনিময় করেছেন।আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার পক্ষে কাজ করার জন্যও দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের ছেলে ডা,আফতাব ইউছুফ রাজ,মনোনয়নপ্রত্যাশী। এদিকে উক্ত দুই উপজেলার বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান,ভেবেছিলাম বিএনপির প্রার্থী হিসাবে মাঠে থাকবেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহীম। কিন্ত হাফিজ ইব্রাহীম ও তার স্ত্রী মাফরুজা সুলতানার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।দূদকের এক মামলায় তার ১০ বছর ও স্ত্রীর ৩ বছরের কারাদন্ড হওয়াসহ নানা কারনে তিনি কোনঠাসা অবস্থায়। মামলা-সংক্রান্ত কারনে তিনি মনোনয়ন নাও পেতে পারেন, এই সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহীম বলেন, নির্বাচন করতে তার আইনি কোনো বাধা নেই। তবে বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান ভোলা-২ আসনে বিএনপির রাজনীতির মাঠে সক্রিয় এবং নেতা-কর্মী ও বিএনপির সাধারন ভোটারদের কাছে ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন, যুক্তরাষ্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভা-পতি জাহাঙ্গীর এম আলম। তিনি প্রবাসে থেকেও দলের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আন্দোলন সংগ্রাম ও অসহায় নেতা-কর্মীদের সুখ-দুখের খবর নিয়েছেন। বিএনপির দল থেকে তিনি ও মনোনয়ন প্রত্যাশী।