ভোলায় বিক্রি করা জমি পূর্ন দখলের পায়তারা করার অভিযোগ

ভোলায় বিক্রি করা জমি পূর্ন দখলের পায়তারা করার অভিযোগ

আশিকুর রহমান শান্ত,ভোলা প্রতিনিধি।

ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের চন্দ্রপ্রসাদ গ্রামে ১৬ শতাংশ জমি বিক্রি করে ক্রেতাকে দলিল না দিয়ে সেই জমি পূর্ণ দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার বাসিন্দা নসু ফরাজীর ছেলে ইউসুফ ফরাজীর বিরুদ্ধে।

রবিবার (২৬ মে) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউসুফ ফরাজীর বিক্রি করা ১৬ শতাংশ জমির উপর ক্রয় কৃত মালিক মোজাম্মেল গাজি (৬৫) বসত ভিটা ও ঘর নির্মাণ করে সেখানে প্রায় ৩ বছর বসবাস করে আসছে। যার তফসীল, চন্দ্রপ্রসাদ মৌজার জে এল নং-৯১ এস এ খতিয়ান নং-৩১০, দাগ নং-১১৪৯/১২৩৪/১২৩৫।

ভুক্তভোগী মোজাম্মেল গাজি বলেন, আমি ইউসুফ ফরাজীর থেকে ২০২২ সালে ১৬ শতাংশ জমি ৬ লক্ষ টাকা মূল্যে ধার্য করিয়া বায়না চুক্তির মাধ্যমে তাকে তিন লক্ষ টাকা প্রদান করি। বায়না চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে বাকি টাকা পরিশোধ করে দলিল করিতে হবে। সেই মোতাবেক আমি তাকে প্রথমে ৮০ হাজার টাকা দেই। পাখি দুই লাখ ২০ হাজার টাকা সে আমার কাছে চাইলে আমি তাকে দলিল দিয়ে বাকি টাকা নিতে বলি। এরপর সে আমাকে আজ কাল করে কালক্ষেপণ করতে থাকে। দলিল দিতে বললে দলিল না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখাতে থাকে। এভাবে তার পেছনে ঘুরতে ঘুরতে প্রায় তিন বছর সময় কেটে যায়। এখন পর্যন্ত সে আমার জমিনের দলিল দিচ্ছে না। বরং উল্টো সে আমার কাছে বিক্রি কৃত জমি নিজ দখলে নেওয়ার জন্য নানা ধরনের পাঁয়তারা
শুরু করেছে।

বায়না চুক্তির সময় উপস্থিত থেকে বায়না চুক্তি সম্পাদনা ও টাকা লেনদেনের দায়িত্ব থাকা আমির হোসেন মাতাব্বর বলেন, আমি নিজের মধ্যস্থতা করে ইউসুফ এর ১৬ শতাংশ জমি মোজাম্মেল গাজীর কাছে ৬ লক্ষ টাকা মূল্যে বিক্রি করে পায়না চুক্তি করি। এবং ইউসুফ ফরাজীর হাতে আমি তিন লক্ষ টাকা তুলে দেই। পরবর্তীতে মোজাম্মেল গাজী ইউসুফ ফরাজি কে আরো আশি হাজার টাকা দেয়। দলিল দিয়ে বাকি টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত তাকে দলিল দেওয়া হয়নি। উল্টো এখন এই জমি দখলে নেওয়ার জন্য তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।

উক্ত বায়না চুক্তিতে থাকা সাক্ষী আব্দুর রহমান চৌধুরী বলেন বায়না চুক্তি করার সময় ইউসুফ ফরাজী বলেছিল দুই মাসের মধ্যে দলিল দিয়ে বাকি টাকা নিয়ে যাবে। তিন বছর হয়ে গেল।ও এখন পর্যন্ত তাকে দলিল দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্তি ইউসুফের কাছে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার টাকার প্রয়োজন ছিল একসময় তাই জমি বিক্রি করেছি‌। এখন টাকার প্রয়োজন নাই তাই জমি বিক্রি করব না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *