
ভোলা প্রতিনিধি।
ভোলা দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ছোটধলি ২নং ওয়ার্ডে জোরপুর্বক জমি দখল করে গাছ কেটে নিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ। আরজু বেগম জানান আমার স্বামীর নাম ইউসুফ আলী মাতাব্বর এবং আমার শশুরের নাম জনু মাতাব্বর তার ওয়ারিশ সুত্রে আমার স্বামী ইউসুফ আলী ওই জমির মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছি। বর্তমানে একই এলাকার সন্ত্রাসী ও ভুমিদস্যু জুয়েল,মহসিন,মোঃ বাসু,মোঃ সাহজাহানও রুবেলসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী গত শনিবার সকাল ১০টার সময় আমাদের ১০ শতাংশ জমি আমার স্বামী অসুস্থ্য থাকায় তিনি ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার অবর্তমানে বাড়ীতে কেহ না থাকায় তারা জোরপূর্বক দখল করে আমাদের ২৫/৩০ টা রেন্টি গাছসহ অন্যান্য ফলদার গাছ কেটে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেন। আমি ঘটনাস্থলে গেলে উক্ত সন্ত্রাসী ও ভুমিদস্যুগন আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়,কোন রকম আমি তাদের হাত থেকে প্রান বাচিয়ে চলে আসি। কোন উপায় না পেয়ে আমি আমার অসুস্থ্য স্বামীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করে স্থানীয় বর্তমান বিএনপির নেতা ফরিদউদ্দিন স্যারকে বিষয়টি জানাই এবং দৌলতখান থানায় অভিযোগ করি। থানার এসআই তাদেরকে জমির দাবীকৃত কাগজ পত্র থাকলে পয়সালার মাধ্যমে বুঝে নিতে বলেন,ফরিদ মাষ্টার স্যারও তাদেরকে গাছ বিক্রীর টাকা জমা দেওয়ার কথা বলেন। উক্ত সন্ত্রাসীরা আইনের কোন তোয়াক্কা করেনা এলাকার গন্য মান্য কাউকে মানে না এবং কোন শালিস মিমাংশা ও মানে না। তারা তাদের নিজ খামখেয়ালিপনায় এলাকায় নিরীহ লোকদের সাথে অযথাই ঝামেলা করে থাকে। তাদের সাথে থাকা কিছু লোক রয়েছে তারা সমাধান করার নামে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন। তাদের কথা মত যারা টাকা দিতে পারে তাদের সাথে থাকে ভাল সক্ষতা আর যারা টাকা দিতে অপারগতা স্বীকার করে তাদের উপর চলে ওই সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন অত্যাচারের ষ্টীম রোলার। এদিকে এলাকাবাসী জানান আমাদের জানামতে ওই জমির মালিক জনু মাতাব্বর তার অবর্তমানে বর্তমানে তার ছেলে ইউসুফ আলী মাতাব্বর। উপরোল্লিখিত নামধারী লোকজন তাদের জমি জোরপূর্বক দখল করে ২৫/৩০টা গাছ কেটে নিয়ে জুলুম এবং নিরীহ জনু গংদের সাথে অন্যায় করছে।
এব্যাপারে মহসিন,রুবেল ও জুয়েলদের সাথে যোগাযোগ করতে এলাকায় গিয়ে কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগি ইউসুফ আলী মাতাব্বরের অসহায় পরিবার উক্ত সন্ত্রাসীদের জুলুমবাজি ও অত্যাচারের হাত থেকে বাচার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।