হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে স্বামীকে ছেড়ে অন্য যাইগাতে বিয়ের অভিযোগে সুজন মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ আকলিমা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর হাত-পা কেটে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। (২৬ আগষ্ট) শনিবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটের সময় অত্র উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের সোনাচং গ্রামের খেলার মাঠের পার্শ্ববর্তী রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাত ৯টা ৩০ মিনিটের সময় আউশ কান্দি নামক স্থানে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তার স্বামী সুজন মিয়াকে (৩৮) আটক করেছে পুলিশ। সুজন মিয়া অত্র উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের সোনাচং গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে। খবর পেয়ে ওসি রাশেদুল হকের নেতৃত্বে এএসআই উত্তম কুমার ঘোপ সহ একদল পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালেক মিয়াসহ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সুজন মিয়াকে আটক করা হয়। আটকের পর হত্যার কথা স্বীকার করে স্বামী সুজন দাবি, আকলিমা ৭ ছেলে-মেয়ে ও তাকে রেখে আরও দুটি বিয়ে করেছেন। সেই ক্ষোভে আকলিমার হাত-পা কেটে দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে আকলিমার মেজো মেয়ে মোছাঃ তানজিনা আক্তার বলেন, তার বাবা মাদকাসক্ত। প্রায়ই নেশা করে বাড়ি ফিরে তাদের মাকে নির্যাতন করতেন। তানজিনা আরও বলেন, বাবা আমাদের ভরণপোষণ করে না। মা-ই আমাদের একমাত্র ভরসা। আমার বাবা সেই মায়ের হাত-পা কেটে দিয়েছে। এখন আমরা কেমনে বাঁচুম', বলে কান্না ভেঙে পড়েন আকলিমা-সুজন দম্পতির মেঝো মেয়ে। এ সময় তার পাশে আকলিমার আরও ৪ সন্তান বিলাপ করছিল। চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক বলেন, ওসমানীতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সময় রাস্তায় আউশ কান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে আকলিমা মারা যায়। এ ঘটনায় তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।